ইসমাইল হোসেন সিরাজী (১৮৮০-১৯৩১) একজন কবি, ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে 'অনল-প্রবাহ', 'রায়নন্দিনী', 'তারাবাঈ', 'স্ত্রীশিক্ষা' ইত্যাদি। নিচে ইসমাইল হোসেন সিরাজীর একটি কবিতা দেওয়া হলো। কবিতায় যেসব শব্দের নিচে দাগ দেওয়া আছে, সেগুলোর বিপরীত শব্দ লেখো।
ইসমাইল হোসেন সিরাজী
হউক সে মহাজ্ঞানী মহা ধনবান,
অসীম ক্ষমতা তার অতুল সম্মান,
হউক বিভব তার সম সিন্ধু জল
হউক প্রতিভা তার অক্ষুন্ন উচ্ছল
হউক তাহার বাস রম্য হ্য মাঝে
থাকুক সে মণিময় মহামূল্য সাজে
হউক তাহার রূপ চন্দ্রের উপম
হউক বীরেন্দ্র সেই যেন সে রোস্তম
শত শত দাস তার সেবুক চরণ
করুক স্তাবক দল স্তব সংকীর্তন।
কিন্তু যে সাধেনি কতু জন্মভূমি হিত
স্বজাতির সেবা যেবা করেনি কিঞ্চিৎ
জানাও সে নরাধমে জানাও সত্তর,
অতীব ঘৃণিত সেই পাষন্ড বর্বর।
বিপরীত শব্দ
যেসব শব্দ পরস্পর বিপরীত অর্থ প্রকাশ করে, সেগুলোকে বিপরীত শব্দ বলে। বিপরীত শব্দ একে অন্যের
পরিপূরক। যেমন-জীবিত-মৃত, গভীর-অগভীর, স্থির-গতিশীল ইত্যাদি। এসব শব্দযুগলের একটি বৈশিষ্ট্য
হলো, এগুলোর একটিকে অস্বীকার করার মানে অন্যটিকে স্বীকার করে নেওয়া। যদি কারো সম্পর্কে বলা হয়
তিনি 'জীবিত', তবে বোঝায় যে তিনি 'মৃত' নন। আবার যদি বলা হয় তিনি 'মৃত', তবে বোঝায় তিনি
'জীবিত' নন।
শব্দের পূর্বে অ, অনু, অনা, অপ, অব, অবি, দুর, না, নি, নির্ প্রভৃতি উপসর্গ যুক্ত করে বিপরীত শব্দ তৈরি করা
যায়। যেমন-চেনা থেকে অচেনা, আদর থেকে অনাদর, নশ্বর থেকে অবিনশ্বর। তবে এমন বহু শব্দ রয়েছে
যেগুলোর বিপরীত শব্দ গঠনগতভাবে আলাদা। যেমন-ধনী-গরিব, আদি-অন্ত, নিন্দা-প্রশংসা ইত্যাদি।
আরও দেখুন...